মোবাইল ফোন কেনার আগে যে ১১টি বিষয় জানা দরকার

মোবাইল ফোন কেনার আগে যে ১১টি  বিষয় জানা দরকার


মোবাইল ফোন কেনার আগে যে টি  বিষয় জানা দরকার
মোবাইল ফোন কেনার আগে যে টি  বিষয় জানা দরকার


ফোন কেনার আগে যা জানা দরকার: বর্তমান সময়ে স্মার্ট মোবাইল ফোন মানুষের এক ধরণের অঙ্গ হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত মোবাইলের বাবহার বাড়ছে কারণ আজ কাল মোবাইল  শুধু প্রয়োজন মেটায় না অনেকটা ফ্যাশানের অংশ হিসেবে দাড়িয়েছে । এখন মানুষ দেখে কে কত স্টাইলিস্ট মোবাইল ব্যবহার করে থাকে ও তার সাথে সাথে কে কত দামি ফোন ব্যবহার করে থাকে । বর্তমানে বাজারে একই দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের একাধিক স্মার্ট মোবাইল ফোন আছে। 

আর  স্মার্ট ফোন কেনার জন্য তেমন কোন নিয়ম বা বিষয় নেই। তাই  একটি দামি মোবাইল কিনতে চান  তাহলে আপনাকে বেসিক, এডভান্স ফিউচার এর উপর ধারণা বা  জানা থাকলে আপনি নিঃসন্দেহে একটি ভালো কোয়ালিটি স্মার্ট ফোন কিনতে পারবেন।

 তাই  দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। সবদিক থেকে এই ডিভাইসটি ভালো হওয়া আবশ্যক। অন্যথায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ফিচার্সের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল রয়েছে। তাই কোন ফোনটি কিনবেন, সেটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। চলুন জেনে নিই ফোন কেনার আগে যা জানা দরকার।

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

স্মার্টফোন কেনার আগে প্রথমেই জানতে হবে স্মার্টফোন কেনার উদ্দেশ্য কী। গেইম খেলার জন্য স্মার্টফোন কিনতে চাইলে প্রসেসর, স্টোরেজ, র‍্যাম, ডিসপ্লে —এই ৪টি বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে।

সুতরাং আজকে দেখব ফোন কেনার আগে আমাদের কোন এগারোটি বিষয় মনে রাখতে হবে । তাই নিচে দেওয়া ধাপ গুলো স্টেপ বাই স্টেপ দেখুন।

 মোবাইল কিনতে করণীয়:

মোবাইল কিনতে করণীয়


মোবাইল কিনতে যা করতে হবেঃ

একটি মোবাইল ফোন কিনতে, আপনাকে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

গবেষণা: আপনার চাহিদা, পছন্দ এবং বাজেটের উপর ভিত্তি করে আপনি কোন ধরনের ফোন চান তা নির্ধারণ করুন। অপারেটিং সিস্টেম (iOS, Android, ইত্যাদি), ব্র্যান্ড পছন্দ, বৈশিষ্ট্য (ক্যামেরার গুণমান, ব্যাটারি লাইফ, স্টোরেজ ক্ষমতা) এবং দামের সীমার মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করুন।

একটি বাজেট সেট করুন: আপনি ফোনে কত খরচ করতে ইচ্ছুক তা স্থির করুন। এটি আপনার বিকল্পগুলিকে সংকুচিত করতে এবং অতিরিক্ত ব্যয় রোধ করতে সহায়তা করবে।

দাম এবং মডেলের তুলনা করুন: দাম এবং উপলব্ধ মডেলগুলির তুলনা করতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ই বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার দিকে তাকান। প্রতিটি ফোনের পারফরম্যান্স এবং স্থায়িত্ব সম্পর্কে ধারণা পেতে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পর্যালোচনা এবং রেটিং পরীক্ষা করার কথা বিবেচনা করুন।

দোকানগুলিতে যান : যদি সম্ভব হয়, ব্যক্তিগতভাবে ফোনগুলি দেখতে এবং পরীক্ষা করতে শারীরিক স্টোরগুলিতে যান৷ এটি আপনাকে ডিভাইসের আকার, ওজন এবং সামগ্রিক বিল্ড গুণমানের জন্য একটি অনুভূতি পেতে দেয়।

ডিল এবং ডিসকাউন্টের জন্য চেক করুন: যেকোনো প্রচার, ডিসকাউন্ট বা বান্ডেল অফারের জন্য নজর রাখুন যা আপনাকে আপনার ক্রয়ের টাকা বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।

শর্তাবলী পড়ুন: কেনাকাটা করার আগে, ওয়ারেন্টি শর্তাবলী, রিটার্ন পলিসি এবং যেকোনো অতিরিক্ত ফি (যেমন শিপিং খরচ বা ট্যাক্স) সাবধানে পড়ুন এবং বুঝুন।
ক্রয় করুন: একবার আপনি একটি নির্দিষ্ট মডেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে এবং মূল্য এবং শর্তাবলীতে সন্তুষ্ট হলে, ক্রয়ের সাথে এগিয়ে যান। আপনি আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে ফোনটি অনলাইন বা ইন-স্টোর কিনতে পারেন।

আপনার নতুন ফোন সেট আপ করুন: একবার আপনার ফোন হয়ে গেলে, এটি সক্রিয় করতে সেটআপ নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং আপনার পুরানো ডিভাইস থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা স্থানান্তর করুন।

আনুষাঙ্গিকগুলি বিবেচনা করুন: আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে, আপনি আপনার নতুন ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত এবং উন্নত করতে একটি ফোন কেস, স্ক্রিন প্রটেক্টর বা চার্জারের মতো জিনিসপত্র কিনতে চাইতে পারেন।

আপনার নতুন ফোন উপভোগ করুন: আপনার নতুন মোবাইল ফোনের সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতাগুলি অন্বেষণ করার জন্য সময় নিন এবং অ্যাপ, ওয়ালপেপার এবং সেটিংস সামঞ্জস্যের সাথে আপনার পছন্দ অনুযায়ী এটিকে ব্যক্তিগতকৃত করতে ভুলবেন না৷

স্মার্টফোন কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার

০১। মোবাইলের ডিসপ্লে

০২। ব্যাটারি পাওয়ার

০৩। মোবাইলের RAM

০৪। মোবাইল প্রসেসর

০৫। মোবাইলের ফাংশন

০৬।মোবাইলের ক্যামেরা

০৭। মোবাইলের ডিজাইন ও স্টাইল

০৮।  মোবাইলের internal স্টোরেজ (Storage)

০৯। মোবাইলের ভার্সন

১০। ফাস্ট চার্জিংঃ 

১১। মোবাইলের দাম 

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

স্মার্ট ফোন কেনার জন্য যে জিনিস গুলো আপনাকে দেখতে হবে সেগুলো হলো


১. ফোনে কোন প্রসেসর ব্যাবহার করা হচ্ছে, দাম অনুযায়ী কি ওই প্রসেসর যুক্তিযুক্ত, ওই একই দামে অন্য ব্র্যান্ড কি প্রসেসর দিচ্ছে । এর সাথেই দেখতে হবে প্রসেসর এর ক্ষমতা কেমন, মাল্টি টাস্কিং, গেমিং এসব এ কেমন কাজ করে, হিটিং প্রবলেম আছে নাকি ।


২. ফোনের মধ্যে ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন, কতো mah এর ব্যাটারি, ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট করে কি না ,টাইপ সি পোর্ট আছে কি না ।


ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট করলে ফাস্ট চার্জার ফোনের সাথে কোম্পানি দিচ্ছে কি না । কারণ অনেক ফোনে ফাস্ট চার্জ সাপোর্ট করলেও ওরা নরমাল চার্জার টাই দেয়, ফাস্ট চার্জার আলাদা করে কিনতে পারেন আপনি । কিন্তু বর্তমানে অনেক কোম্পানি ফোনের সাথেই সেটা দিচ্ছে ।

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

৩. ফোনে ram,internal memory কতো সেটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ, নরমাল কল, ইউটিউব এসব করার জন্য 3 জিবি 32 জিবি মোটামুটি চলে যাবে, এর নিচে না যাওয়াই ভালো আর 4 জিবি 64 জিবি বা 6 জিবি 128 জিবি হলে তো ভালই হয়, দাম টাও বাড়বে অবশ্য এর জন্য ।


4জিবি 64 জিবি টা আপাতত ঠিক ঠাক বলা চলবে ।

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

সঙ্গে দেখবেন যে ram যেটা ব্যাবহার হচ্ছে সেটা DDR 4 না DDR 5 , এ গুলোর ওপরে নির্ভর করে ফোনের কার্য ক্ষমতা বাড়ে, DDR 4 Ram এখন ভালোই কাজ করে , বেশি দামী ফোনে হয়তো দেখতে পাবেন DDR 5 RAM.


৪. এর পর গুরুত্ব পূর্ণ হলো softwere, মানে ফোনে স্ট android আছে না কোম্পানি নিজস্ব মডিফাই করা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দিচ্ছে সেটা দেখবেন ।


আমি নিজে স্টক অ্যান্ড্রয়েড এর ভক্ত তবে আপনার miui , realme ui , one ui , oxygen os ইত্যাদি পছন্দ হতেই পারে , এগুলোও সম্পর্কে ইউটিউবে দেখুন কোনটা কেমন , লাভ লোকসান কি কি ।


তবে এটুকু বলবো ui যাই হোক না কেনো অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন টা যেনো একদম লেটেস্ট হয় মানে এক বা দেড় বছর পুরনো ভার্সন থাকলে কিছু দিন পর কোম্পানি আপনাকে আর আপডেট দেবে না, একটা নতুন ফোনে কোম্পানি গড়ে দুটি অ্যান্ড্রয়েড আপডেট দেয় আর বর্তমান দিনে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন লেটেস্ট না থাকলে আপনি অনেক নতুন নতুন ফিচারস থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন ।


৫.আর ক্যামেরা নিয়ে যেটা বলবো যে ক্যামেরার সংখ্যা দেখে ভুলবেন না, বা মেগাপিক্সেলের এর অঙ্ক দেখে আপ্লুত হবেন না, ওগুলো লোক ঠকানো জিনিস। ছবির কোয়ালিটি ভালো হতে হবে , সেটার জন্য ফোনের ক্যামেরা কম্পরেশন দেখুন ইউটিউবে বুঝতে পারবেন ভালো ।


৬. Fingerprint scanner এখনকার দিনে খুব বেশি দরকারি, বার বার পিন বা প্যাটার্ন দিয়ে ফোনে আনলক করতে এখন বিরক্তি লাগবেই ।


৭. স্ক্রীন এর রেসুলোশন টাও খুব দরকারি , দশ হাজারের নিচে Hd+ মানা যায় কিন্তু তার ওপরের দিকের ফোনে ফুল hd display হওয়া স্বাভাবিক ।


এগুলো ছাড়াও অনেক ছোট খাটো ব্যাপার থাকে যেমন ফোনের স্ক্রীন গরিলা গ্লাস আছে কিনা, বডি টা প্লাস্টিক , মেটাল না গ্লাস দিয়ে তৈরি, হেডফোন জ্যাক আছে কি না, ডুয়াল 4 জি সাপোর্ট করে কি না , ইত্যাদি

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়:

শুধুমাত্র স্বকৃীত অফিশিয়াল স্টোর থেকে কেনা ফোন মানেই অরিজিনাল ফোন। কিন্তু যে দোকানে আনঅফিচিয়াল ফোনও বিক্রি করে সেসব দোকানে বিক্রিত অফিশিয়াল ফোন মানেই অরিজিনাল ফোন নাও হতে পারে।

কয়েক হাজার টাকা কমে বিক্রির নামে যে আনঅফিশিয়াল ফোন বিক্রি হয় সেগুলো আর অফিয়াশ স্টোরে বিক্রি হওয়া ফোন এক নয়। গ্রে মার্কেটের ফোনের মধ্যে কয়েক ধরনের ছলচাতুরী থাকতে পারে। আমি কয়েকটা উদাহরন দিচ্ছি।

১. কোম্পানিতে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিসম্পন্ন ফোনের ত্রুটি ঠিক করতে যে সময় লাগবে তার মূল্য কোম্পানির কাছে অধিক হওয়ায় ত্রুটিযুক্ত ফোন গুলো কোম্পানি অফিশিয়ালি সেল না করে গ্রে মার্কেটে কম মূল্যে বিক্রি করে দিতে পারে। যা আপনি আনঅফিশিয়াল মার্কেট থেকে কিনে জিতছেন ভেবে ঠকছেন।

২. ত্রুটিপূর্ণ উৎপাদন বা টেস্টে বাদ পড়া ফোন রিপেয়ার পার্টস হিসেবে বাইরে আসার পর, অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জোড়াতালি দিয়ে ৩ফোন ভেঙে এক ফোন বানিয়ে সচল করে আপনার বাজারে আনঅফিশিয়াল হিসেবে বিক্রি হবে। যা এসেম্বলি করেছে একজন অদক্ষ কেউ।

কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৪:

কোম্পানি বা ব্র্যান্ড প্রসঙ্গে সাজেস্ট করতে হলে আমি অবশ্যই অ্যাপল, আসুস, ওয়ানপ্লাস, স্যামসাং, মটোরোলা বা সনি ব্র্যান্ড সাজেস্ট করবো ৷ কারন লং-টার্ম ইউজের জন্য উপরিউক্ত ব্র্যান্ডগুলোর ফোন অনেক স্বনামধন্য ৷ আপনি চোখ বন্ধ করে আপনার কষ্টের টাকায় উপরের যেকোনো একটি ব্র্যান্ডের ফোন নির্দ্বিধায় কিনে ফেলতে পারেন, আশা করি নিরাশ হবেন না ৷


বাজেট এখানে একটা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! যেহেতু আপনি আপনার প্রশ্নে বাজেট সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি তাই আমি নিজ দায়িত্বে এই সাবজেক্টটি এড়িয়ে গেলাম 


অপর আরেকটি বিষয় হলো- ফোন কেনার সময় আপনি কোন কোন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য রেখে ফোন কিনবেন ৷ এটা যেকোনো ব্র্যান্ড নির্বাচন করার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ৷ কারন ব্র্যান্ড যত স্বনামধন্যই হোক না কেন ফোনের বৈশিষ্ট্য যদি ভাল না হয় তবে আপনার মনে হতে পারে যে, আপনি কষ্টের টাকা খরচ করে প্রযুক্তির ভিড়ে ধরা খেয়েছেন ৷ 


সাধারণত একটা স্মার্টফোন কেনার সময় আমি যে বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য রেখে ফোন কিনে থাকি আমি সেই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার সাথে শেয়ার করলামঃঃ

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

১৷ বডির সাইজ এবং ওজন ( এখন বেশিরভাগ মোবাইল হাতে নিলে মনেহয় যেন এক একটা ট্যাবলেট!!! আমার হালকা ওজন ও কম্প্যাক্ট সাইজের ফোন পছন্দ ৷)


২৷ বিল্ট কোয়ালিটি (মোবাইলের ফ্রেমটা যেন কমপক্ষে অ্যালুমিনিয়ামের হয়, কারন প্লাস্টিক ফ্রেমের সবদিক থেকেই স্থায়ীত্ব কম ৷)


৩৷ ডিসপ্লে ( কমপক্ষে অ্যামোলেড, সুপার অ্যামোলেড হলে বেশি ভালো ৷ এর চেয়েও ভালো প্যানেল পাওয়া যায় তবে কেবল ফ্লাগশিপ সিরিজের ফোনে ৷ আইপিএস প্যানেল ব্যক্তিগত ভাবে আমার পছন্দ নয়, কারন আইপিএস প্যানেল ট্রু কালার প্রডিউস করতে পারেনা প্লাস চোখের ক্ষেত্রেও একটু বেশিই ক্ষতিকর এই আইপিএস ডিসপ্লে!!!)


৪৷ প্রটেকশান ( ডিসপ্লে প্যানেলের ওপর গরিলাগ্লাসের প্রটেকশান আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরী ৷ বর্তমানে কমপক্ষে গরিলাগ্লাস-৫ যেকোনো ফোনে থাকা আবশ্যক এবং যদি ফোনের পেছনের দিকেটাও গ্লাসের ডিজাইনে তৈরি হয়ে থাকে তবে সেটিতেও গরিলাগ্লাসের প্রটেকশান থাকা জরুরী ৷ গরিলাগ্লাস-৬ টেকনোলজি হলে আরো বেশি প্রটেকশান পাওয়া যাবে ৷ )


৫৷ RAM+ROM ( দুটোই যত বেশি হবে, সুবিধা ততই বেশি পাওয়া যাবে ৷ তবে ৪জিবি RAM আবশ্যক বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আর ROM মিনিমাম ৩২জিবি ৷)


৬৷ চিপসেট/প্রসেসর ( স্ন্যাপড্রাগনের ৭২০ থেকে ওপরের মডেলগুলো আমার প্রথম পছন্দ, বাকিগুলো যে খারাপ তা বলবোনা তবে এক্সিনোস কিংবা মিডিয়াটেকের প্রসেসর আমার পছন্দ নহে ৷ কারনগুলো একটু গুগল করলেই পেয়ে যাবেন ৷)

আরো জানতে এখানে ক্লিক  করুন

৭৷ ক্যামেরা ( এটা সম্পর্কে বর্তমানে মানুষ একটু বেশিই আগ্রহী পেছনে কয়টা ক্যামেরা!!! আবার সামনে কয়টা ক্যামেরা!!! কত মেগাপিক্সেল সেন্সর!!! ব্লা ব্লা…!!! আসলে ক্যামেরা সম্পর্কে যেগুলো জানা জরুরী সেগুলো নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই মাথা ঘামায় না! এসবের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হলো ক্যামেরার অ্যাপারচার সাইজ ৷ ক্যামেরার আপারচার সাধারণত যত বড় হবে ছবিও ততটাই পরিস্কার ও ঝকঝকে আসবে ৷ যেমন একটি f/1.7 সাইজের অ্যাপারচারের তুলনায় f/2.2 সাইজের অ্যাপারচার অনেক ছোট ৷ তাই একটি f/2.2 সাইজের 64 Megapixel ক্যামেরার তুলনায় একটি f/1.7 সাইজের 12 Megapixel ক্যামেরা যে বেশি পরিস্কার ও ঝকঝকে ছবি তুলতে পারবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় ৷ একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে- megapixel doesn't metter! এছাড়াও মোবাইল ফোন ক্যামেরার আর একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হলো টেলিফটো লেন্স ৷ টেলিফটো লেন্স ফোনে থাকলে আপনি অপটিক্যাল জুম সুবিধা পাবেন ৷ এরসাথে আর একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় যেটা সেটা হলো অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার ৷ এটি ক্যামেরার সাথে থাকলে আপনার ছবি ঝাপসা আসার ঝুঁকি কমে আসবে ৷ আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সময়ের অভাবে লেখা হলোনা…

সর্বপরি…

৮৷ ব্যাটারি (এটা আপনি যেমন ইউজার তেমন ব্যাটারি দেখে কিনবেন ৷ হেভি ইউজার হলে একটু বিগ সাইজের ব্যাটারি দেখে কিনবেন সাথে ফোনের সাথে কত ওয়াট চার্জার দেয়া আছে এবং সেটা কিরকম গতিতে ব্যাটারি ফুলচার্জ করে সেটাও দেখে নিবেন ৷ )

উপসংহার :

তো আপনি একটা ফোনে বেছে নিয়ে সেটা সম্পর্কে ইউটিউব কিছু রিভিউ দেখুন, অনেক সুবিধা পাবেন এসবের পাশাপাশি দেখুন আরও কি কি স্পেশাল ফিচার রয়েছে। যেমন: প্যারেন্টাল লক, গেস্ট মোড ইত্যাদি। আবার আপনি যদি অধিকাংশ সময় স্মার্টফোনে বই পড়তে চান, তবে দেখুন তাতে ডিস্প্লের hue এবং ব্রাইটনেস সহজে এডজাস্ট করার সিস্টেম আছে কিনা। পাশাপাশি দেখুন তাতে সূর্যের আলোতে সহজে পড়ার ব্যবস্থা, Night Mode এবং Eye Protection এর ব্যবস্থা আছে কিনা। মোটকথা, স্মার্টফোনের প্যাকেটের গায়ে যা লেখা আছে তা দেখেই আশ্বস্ত না হয়ে বরং ফোনের দোকানে ফোন কেনার আগে ফোনের ডিস্প্লেটি অন করে দেখে নিন স্মার্টফোনটি আপনার চাহিদা ঠিকঠাক পূরণ করবে কিনা।


Next Post Previous Post
"/>