জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে কি করনীয় |জন্ম নিবন্ধন কার্ড হারিয়ে গেলে কি করবেন | জন্ম নিবন্ধন অনলাইন |জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বের করার উপায়
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন |জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বের করার উপায় | জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে কি করনীয় | How to get a birth registration certificate.
বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্যই জন্ম নিবন্ধন কাছে রাখা অনেকটা অবশিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকল ধরনের সার্টিফিকেট তৈরি সহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। সে কারণে জন্ম নিবন্ধন সনদ হাতের কাছে রাখা সকলের জন্য অতীব জরুরী। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদ এর মূলকপি হারিয়ে ফেলে এর ফলে অনেক প্রয়োজনীয় সময়ে জন্ম নিবন্ধন হাতের কাছে না থাকায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়. এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে কি করা উচিত কিভাবে জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে তা পুনরায় পাওয়া যাবে তা নিয়ে থাকছে আজকের এই আমার আর্টিকেল।জন্ম নিবন্ধন অরিজিনাল কপি,
🌟জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে মূল কপির বিকল্প:
জন্ম নিবন্ধন সনদ বলতে আমরা প্রায় সবাই কাগজে ছাপানো সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া বুঝি । কিন্তু বর্তমানে সকল জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত করা আছে। এর ফলে সেই মূল কপি না থাকলেও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব
💮জন্ম নিবন্ধন নং ব্যবহার করা ;
জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল শনাক্তকারী পরিচয়টি হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার সে কারণেই নাম্বার টা কারো কাছে থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি ছাড়াও অনেক স্থানে নাম্বার টি ব্যবহার করা সম্ভব হয়. যেসব স্থানে জন্মনিবন্ধন ব্যবহার প্রয়োজন হয়.(জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কপি ডাউনলোড)
সেগুলোর অধিকাংশই জন্ম নিবন্ধন সনদেরদের নাম্বার 17 ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নং ব্যবহার করে। ওই ব্যক্তির তথ্য নেওয়া নেওয়া ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দেশের সকল মানুষের জন্য আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যার ফলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে এই আইডি নাম্বার টি ব্যবহার করতে পারে। এরপর জন্ম নিবন্ধনের যেকোনো তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে এখন কেউ জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজ করাতে পারে অধিকাংশ জায়গাতেই ।
🌟প্রিন্ট কপি ব্যবহার করুন :
কার্যক্ষেত্রে অনেক ধরনের লাইসেন্স তথা নথি তৈরি করতে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি যুক্ত করতে হয় এই কাজটি চাইলে জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি না থাকলেও করা সম্ভব জন্মনিবন্ধন সনদ অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকায় এটি চাইলেই এখন অনলাইনে চেক করা যায় এবং একইসাথে সেখান থেকে জন্ম সনদ অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায়। প্রিন্ট করা কপি মূলকপি পরিবর্তে অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করেন। প্রায় আসল কপির মতো দেখতে হয় ব্যবহার করতে সমস্যা হয় না ফলে জন্ম নিবন্ধন এর মূলকপি না থাকলে এই কমিটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।
🌟জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে মূলকপি পাওয়ার উপায় :
অন্যান্য অনেক ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ কমিটি অনেক সময় প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া মূল কপি ব্যবহার করা সব সময় প্রিন্ট কপি থেকে বেশি গ্রহনযোগ্য। তাই জন্ম সনদ হারিয়ে গেলে পুনরায় সেটি একটি ছবি তৈরি কোরে নেওয়া যতদূর সম্ভব উচিত
🌟অনলাইনে আবেদন করুন:
জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে সেটি পুনরায় পাওয়ার জন্য খুব সহজে একটি আবেদনের কাজ করা যায়। কয়েকটি সহজ ধাপ এর মাধ্যমে যে কেউ জন্ম নিবন্ধন পুনঃমুদ্রণ করতে পারে এখানে সেগুলো উল্লেখ করা হলো ।জন্ম নিবন্ধন অরিজিনাল কপি,
✔ধাপ -১:
জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে গেলে তা ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর জন্য সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। https://bdris.gov.bd/br/applicationএই ওয়েবসাইট টি ক্লিক করলে সহজেই জন্ম ও মৃত্যু সনদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে ।
জন্ম নিবন্ধন হারিয়ে গেলে কি করনীয়
✔ধাপ -২:
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ওয়েবসাইট এর উপরে মেনুবার থেকে জন্ম নিবন্ধন অপশনে যেতে হবে. এখান থেকে জন্ম সনদ পুনঃমুদ্রণ অপরদিকে ক্লিক করতে হবে ।
✔ধাপ-৩
ক্লিক করার পর নতুন একটি পৃষ্ঠা চলে আসবে। এখানে হারিয়ে যাওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জন্মতারিখ লিখতে হবে. এরপর অনুসন্ধান বাটনটিতে ক্লিক করলেই ঐতথ্য দেখা যাবে। জন্মনিয়ন্ত্রণের থাকলে পাশে নির্বাচন করুন বাটনটি ক্লিক করেন।
✔ধাপ-৪.
পরবর্তী পৃষ্ঠায় আবেদনকারীকে তার নিবন্ধক কার্যালয়ের ঠিকানা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রথমে জন্ম নিবন্ধন সনদটি কোন এলাকা থেকে তৈরী করা হয়েছিলাে তা জেনে নিতে হবে। নিবন্ধক কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে অবশ্যই ঐ এলাকার কার্যালয়কেই নির্বাচন করতে হবে।
✔ধাপ-৫.
নিবন্ধক কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়ার পর আবেদনকারীর তথ্য লিখতে হবে। এর প্রথম ঘরটিতেই আবেদনকারী জন্ম নিবন্ধনটি যার নামে তৈরী করা তার সাথে কিভাবে সম্পর্কিত তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার লিখতে হবে নিচের ঘরগুলােতে। এরপর সাবমিট বাটনটিতে ক্লিক করলেই আবেদনটি জমা হয়ে যাবে।
✔ধাপ-৬.
এর পরের পৃষ্ঠায় আবেদনটির নাম্বার ও জন্ম নিবন্ধনের মূলকপিটি সংগ্রহ করার তারিখ দেওয়া হবে। ঐ নির্দিষ্ট তারিখের মাঝে জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। সেটি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনের মাঝে নির্দিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদটি সংগ্রহ করতে হবে।
💢হারিয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধন নম্বর না জানা থাকলে কী করবেন
তাদের প্রায় সব ক্ষেত্রেই জন্ম নিবন্ধন নম্বর জেনেই তা করা সম্ভব। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ হারিয়ে যায় এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর মনে নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে ৭টি। তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে জন্ম নিবন্ধন শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা প্রয়োজন। পদ্ধতিটি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ।
🔗ধাপ 1.
জন্ম নিবন্ধনের স্থান খুঁজুন জন্ম নিবন্ধন শংসাপত্র পুনর্নবীকরণ করার জন্য, আবেদনকারীকে প্রথমে রেজিস্ট্রার অফিসের ঠিকানা খুঁজে বের করতে হবে যা জন্ম নিবন্ধন শংসাপত্র তৈরির সময় দেওয়া হয়েছিল। এটি সাধারণত জন্ম নিবন্ধনে উল্লেখিত স্থায়ী ঠিকানার উপর নির্ভর করে। আবেদনকারীকে সেই ঠিকানা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিটি কর্পোরেশন অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় উপস্থিত থাকতে হবে।
🔗ধাপ ২.
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করুন। নির্দিষ্ট অফিসে উপস্থিত হওয়ার পর, আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদনকারী তার নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা উল্লেখ করলে কর্মকর্তা একটি নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করবেন। সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া যাবে এবং যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যাবে।
🔘উপসংহার :
বর্তমানে জন্ম পোর্টাল সনদের সাথে সরকার সকল নথি যুক্ত করছে। সেকারণে জন্ম পোর্টাল সনদ হাতের কাছে থাকাটা অনেক জরুরী। কিন্তু জন্ম পোর্টাল আমাদের অনেক ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সে ধরনের সম্ভাব্য জন্ম পোর্টাল সনদ পুনরা ফেরত পাওয়া যায় ।