ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায় | মোবাইল চেনার উপায় । ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায় । ভালো ফোন চেনার উপায় কি । কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো 2022

 মোবাইল চেনার উপায় । ভালো মোবাইল  ফোন চেনার উপায় । ভালো ফোন চেনার উপায় কি । কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো 2022 । অফিশিয়াল মোবাইল চেনার উপায়


ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়

                                                     ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়


ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়: 

নতুন ফোন কেনার জন্য আপনাকে আগাম অভিনন্দন বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এত বেশি যে বাজারে এর কয়েক শত ধরনের মোবাইল রয়েছে। তাই অনেকেই ফোন কেনার সময় কি কি বিষয় খেয়াল রাখবেন অর্থাৎ আপনার জন্য কোন ধরনের ফোন ভালো হবে তা  আপনি জানতে পারেন না বা সন্দিহান অবস্থায় থাকেন। আজকের এই লেখাতে আমার আর্টিকেলে তাই আপনার জন্য ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনার চাহিদা সম্পর্কে ধারণা লাভ করুন। নিশ্চয় আপনি কেন  সেই নতুন মোবাইল ফোন কিনছেন। কারণ এখন স্মার্টফোন শুধুমাত্র ফোনে কথা বলতেই নয় বরং হাজারো রকমের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এক একটি স্মার্টফোন এক এক  ধরনের কাজ করতে পারে। তাই আপনি ঠিক কি কাজের জন্য  বিশেষায়িত মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন। তা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে যেমন আপনি যদি খুব বেশি গেম খেলতে ভালোবাসেন বা ভারী কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রসেসর ভালো এমন মোবাইল ফোন কিনতে হবে।আপনার চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর আপনি মোবাইল কেনার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মিলিয়ে নেবেন সে অনুযায়ী মোবাইল কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন 

 প্রসেসর :

 ভালো মোবাইল ফোনের অন্যতম প্রধান একটি দিক হচ্ছে প্রসেসর। কারণ প্রসেসর হচ্ছে

ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়

একটি স্মার্টফোনের প্রধান চালিকাশক্তি। যদিপ্রসেসর উন্নত  না হয়।  তবে আপনি স্মার্টফোনে বেশি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না এবং ব্যবহার করতে করতে ফোনটি  ধীর গতিসম্পন্ন হয়ে যাবে। যারা  মোবাইল মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপ এর কাজ করেন যেমন ফটো বা ভিডিও এডিটিং করা গেম খেলা ইত্যাদি কাজের জন্য অবশ্যই প্রসেসর ভালো হতে হবে. নইলে এসব কাজ করতে গেলে প্রচুর লাগ্  করবে অর্থাৎ    আটকে যাবে। এর ফলে আপনার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে।  বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই অনেক বেশী ব্যবহার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ফোন কেনার সময় এর প্রসেসর যাতে ভালো হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে বর্তমানে স্নাপড্রাগণ 855 এর  প্রসেসর গুলোতে ভালো প্রসেসর বলে গণ্য করা হয়। স্নাপড্রাগণ ৮৮৮ কিরিন ৯৮৪ , কিরিন ৯০০০ ইত্যাদি বর্তমানকালের ভালো প্রসেসর। সামনে আরো ভালো প্রসেসর আসবে আপনার বাজেট অনুযায়ী যে প্রস্তাবটি ভালো হবে সেটি নির্বাচন করুন 


অপারেটিং সিস্টেম :

আপনার মোবাইল ফোনটি একটি ছোট আকৃতির কম্পিউটার। তাই কম্পিউটারের মত মোবাইলটি যে সফটওয়্যার দিয়ে পরিচালিত হবে সেটি হলো অপারেটিং সিস্টেম। আপনার মোবাইল দিয়ে আপনি কি কি করতে পারবেন মোবাইলে কি কি ফাংশান আছে কি কি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন এসব কিছুই নির্ধারণ করবে অপারেটিং সিস্টেম। বিশ্বের অধিকাংশ মোবাইল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপল কোম্পানির ফোনগুলোতে ব্যবহৃত হয় আইওএস অপারেটিং সিস্টেম। এই দুটি অপারেটিং সিস্টেম বাদে অন্য অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ব্যবহার আপনার জন্য অসুবিধাজনক ও ক্ষতিকর হতে পারে।  তাহলে হয়তো অন্যকোন মোবাইলের সাথে তথ্য আদান প্রদান ও  কিছু কাজে সমস্যা  করবে তাই মোবাইল কেনার সময় অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এই দুটি যে কোন একটি নির্বাচন করুন। তবে অপারেটিং সিস্টেম প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে

স্মার্টফোন থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে লেটেস্ট ভার্সন এর অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত তাই মোবাইল কিনার সময় অপারেটিং সিস্টেম যাতে একদম লেটেস্ট ভার্সন বা অন্তত লেটেস্ট ভার্সনের একবার 2 ভার্সন পুরাতন সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে এমন মোবাইল নির্বাচন করুন একবার দুইবার পুরাতন হলে চিন্তার কোন কারণ নেই সকল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট ডাউনলোড করে আপডেট সিস্টেম আপডেট করে নেওয়া যায় তবে বেশি পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম যেমন কিটক্যাট ললিপপ ভার্সন কিনবেন না কারণ সেক্ষেত্রে আপডেট করতে করতে অপারেটিং সিস্টেম এর লেটেস্ট ভার্সন এ আসতে অনেক সময় লেগে যাবে আবার একটি নির্দিষ্ট এন্ড্রয়েড ভার্সন অব্দি ভার্শন সময় পর্যন্ত ঠিকমতো কাজ করতে পারে তাই আপডেট নাও আসতে পারে সেজন্য অপারেটিং সিস্টেম লেটেস্ট ভার্সন কেনা বুদ্ধিমানের কাজ এবং এমন মোবাইল কিনুন

🔆মোবাইল চেনার উপায়>>>>>

🔆মোবাইল চেনার উপায়>>>>>

🔆মোবাইল চেনার উপায়>>>>>

ব্যাটারি লাইফ :

 যাদের প্রায়  সারাদিনই বাইরে থাকতে অর্থাৎ চার্জ দেওয়ার খুব একটা সময় হয়না তাদের ফোনে চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ব্যাপক সমস্যার কারণ হতে পারে।



তাই আপনি যদি ফোন বেশি সময় ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে বারবার চার্জ দেওয়া বেশ অসুবিধাজনক।
ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়


সেজন্য ফোন কেনার আগে ব্যাটারি ক্ষমতা কিরকম অর্থাৎ এর চার্জার দিয়ে কতদূর চার্জ  করা যায়। তা লক্ষ্য রাখতে হবে। 3 হাজার থেকে ছয় হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি সমৃদ্ধ ফোন বাজারে পাওয়া যায়। আপনি যদি ফোন বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার কমপক্ষে 5000 mAh ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করা উচিত


রেম :

আপনার মোবাইলের মেমোরির একটা অংশ এর পরিপূর্ণ রূপ হল রেনডম এক্সেস মেমোরি (Random eccess memory )  এটি স্বল্পমেয়াদি মেমোরি অর্থাৎ শুধুমাত্র কাজ করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য ধারণ করে। যে ফোনের রেম এর ক্যাপাসিটি যত বেশি সে ফোনের ব্যবহার করে আপনি বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এবং সুবিধা পাবেন কাজ করতে মজা লাগবে এবং একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে 2 জিবি  থেকে 6 জিবি অর্থাৎ আরো বেশি মেমোরি ক্যাপাচিটির  ফোন বাজারে পাওয়া যায়। সিস্টেম এর অ্যাপ গুলো  এক থেকে দেড় জিবি স্পেস দখল  করে ফেলে। বাকি অংশটুকু দিয়ে অন্য অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। তাই মেমোরি ক্যাপাচিটি বেশি হলে অনেক বড় সাইজের অ্যাপ আছে যা আমার ফোনে কাজেই করেন না।  আপনি যদি গেম খেলতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই বেশি দামের স্মার্টফোন কিনতে হবে. এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য রেম বেশি হলেই ফোন এর কার্যকারিতা বেশি এটি পুরোপুরি সত্য নয় ফোনের প্রসেসর কি রকম আরেকটি বড় ভূমিকা রয়েছে।  এখানে তবে অ্যান্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে নামিদামি অন্যান্য যন্ত্রাংশ সেই অনুযায়ী সেটআপ করা থাকে। তাই বেশিকর্মক্ষম  এবং  কার্যকারিতা বেশি হয়। আবার অ্যান্ড্রয়েড আইফোন এর ক্ষেত্রে হয়না। একটি টু জিপি 2 জিবি অ্যান্ড্রয়েডের 6 জিবি রেম এর  ফোনে সামান্য হতে পারে আইফোন তাদের মেমোরি ক্যাপাচিটি না করে অন্য ভাবে ফোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে থাকে। তাই আপনি যদি ভাল একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনতে চান সেক্ষেত্রে কমপক্ষে 3 জিবি রেম মোবাইল ফোন কিনুন এর কম হলে আপনাকে বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করা ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে


স্টোরেজ :

 বর্তমান স্টোরেজ আপনার মোবাইলে নানা রকম তথ্য আদান-প্রদান রাখার প্রয়োজন হবে. যেমন ছবি ভিডিও এবং বিভিন্ন  ডকুমেন্ট রাখতে আপনার মোবাইল মেমোরি তে ভালো পরিমাণে স্পেস দরকার।

ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায়

তাই মোবাইল নির্বাচনে সব সময় মোবাইলের স্টোর এর জন্য স্পেস যত  বেশি হয়. তা খেয়াল রাখা কারণ যত বেশি হবে তত বেশি ফাইল আপনি মোবাইলে মেমোরিতে রাখতে পারবেন। সেই সাথে ব্যবহারের জন্য ইন্টার্নাল স্টোরেজ কমপক্ষে 32জিবি  এরকম মোবাইল নির্বাচন করুন এছাড়াও 64 এবং 128জিবি  স্টোরেজ এর মোবাইল বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়।  যদি আপনার আরও বেশি মোবাইল স্পেস দরকার  হয়।  তাহলে এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড সংযুক্ত করা যায় এমন মোবাইল কিনুন তবে বর্তমানে ইন্টার্নাল স্টোরেজ এত বেশি হওয়ায় অনেক মোবাইলেই আলাদা করে মেমোরি কার্ড যুক্ত করার অপশন থাকেনা। আপনার যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি সম্পন্ন মোবাইল কিনুন কারণ মোবাইল  দ্রুত গতিতে চালাতে হলে অবশ্যই আপনাকে স্টোরেজের কিছু অংশ সবসময় খালি রাখতে হবে। 


ক্যামেরা :

আপনি যদি স্মার্টফোনকে ছবি তোলা বা ভিডিও করার কাজে ব্যবহার করতে চান। সে ক্ষেত্রে উন্নত মানের ক্যামেরা সমৃদ্ধ মোবাইল ফোন কিনুন। কোন মোবাইলের ক্যামেরা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে। সেই ক্যামেরার রেজুলেশন তত ভালো।অর্থাৎ ছবি স্পষ্ট হবে এবং ডিটেইলস সহ সুন্দরভাবে ছবি তোলা ভিডিও করা। যাবে যদি আপনি প্রফেশনাল হন বা মোবাইল ফটোগ্রাফি কাজ করেন। সেক্ষেত্রে ফোন ফোনের ক্যামেরা তে সেটিং বেশি অর্থাৎ সাটারস্পিড সহ অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণের শুধু সুবিধা বেশি আছে সেই অনুযায়ী স্মার্টফোন নির্বাচন করা ভালো মানের ছবি তোলার জন্য মোবাইলের ক্যামেরা কমপক্ষে 48 মেগাপিক্সেল এর হলে ভালো হয়। 

সর্বশেষ কথা :

বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে বাজারে মোবাইলের ফোনের মডেল এর কোন অভাব নেই. অনেক ধরনের মোবাইল বাজারে পাওয়া যায়। আপনার যেমনটা দরকার সেরকম  মোবাইলেই পাবেন শুধু আপনাকে মোবাইলের গুনগতমান এবং স্পেসিফিকেশন গুলো ভালোভাবে ধারণা নিতে হবে তবে উপরে  আলোচনায় মোবাইলের যে সকল জিনিস অতি গুরুত্বপূর্ণ।  আমি আজকের এই লেখা টি থেকে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  আপনি এই লেখাটি থেকে মোবাইল কেনার সময় আপনার জন্য পারফেক্ট মোবাইলটি বাছাই করার ক্ষেত্রে অনেকটা সাহায্য করবে। আশা করি আপনি আলোচনা থেকে অনেক সুন্দর ধারণা লাভ করেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন এমনটাই আমরা কামনা করছি খোদাহাফেজ ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। 


Tage:ভালো মোবাইল ফোন চেনার উপায় , মোবাইল চেনার উপায়, ভালো মোবাইল  ফোন চেনার উপায়, ভালো ফোন চেনার উপায় কি ,কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো 2022,

#Technology



























Next Post Previous Post
"/>