নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায় | মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং এর বিভিন্ন সুবিধা জানুন | দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ 2022

 

নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায়
নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায়

নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায় | মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং এর বিভিন্ন সুবিধা জানুন | দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ 2022

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি একটা সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেটা প্রত্যেকটা ব্যাংকিং সুবিধা ভোগীর  জন্য প্রয়োজন। তাহলো "নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায়" কেননা ক্রমান্বয়ে আমাদের ব্যবহার করা অন্যান্য লেনদেনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে  যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন ব্যক্তি সুবিধা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত করা. অনেকে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে টাকা জমা রাখা শুরু করেছেন। দেশের প্রতিটি এলাকায় অলিগলিতে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট থেকে টাকা জমা করা বা উঠানোর ইদানিং খুবই সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু একই সাথে এর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন অনেক প্রশ্ন বা সন্দিহান হয়ে গেছে। তাই পুরো ব্যাপারটি ভার্চুয়ালি হওয়ায়  এর মাধ্যমে নানা ধরনের জালিয়াতি প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। তাই সে কারণে মোবাইল ব্যাংকিং করার সময় সবার সাবধানে থাকা জরুরী। বেশ কিছু বিষয়ের দিকে সবসময় খেয়াল রাখলে নিরাপদেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ভোগ করা যায়। এখানে নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 


🔯মোবাইল ব্যাংকিং এর নিরাপত্তা:                                                

মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ একটি নিরাপদ একটি ব্যবস্থা কিন্তু এর সকল কার্যক্রম ভার্চুয়ালি হয় এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ হওয়ার সুযোগ সাধারণ অনলাইন ব্যাংকিং সেবার চাইতে বেশি কিন্তু অন্যান্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিরাপদ এর একটি মূল কারণ হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা একটি নির্দিষ্ট সিম কার্ডের উপর নির্ভর করে কাজটি সম্পন্ন করে ফলে নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট অ্যাকাউন্ট এর সকল অর্থতত্ত্ব উপরে নির্ভরশীল ছাড়া ঐ একাউন্টে ব্যবহার করা সম্ভব নয়. তাই মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন ব্যাংকিং সেবার মধ্যে তুলনা করলে অনলাইন ব্যাংকিং সেবায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার টি সকল অর্থতত্ত্বের ব্যবহার করে যেকোনো স্থান থেকে ওই ব্যাংকিং একাউন্ট এর সকল তথ্য ও টাকা ব্যবহার করা সম্ভব। তাই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে সাধারণভাবে হ্যাকিং এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা অনেক বেশি কঠিন অনলাইন ব্যাংকিং সেবা অনেক বেশী হয়ে থাকে কিন্তু তবুও এতে নানাভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে যা শুধুমাত্র সতর্ক থাকার মাধ্যমেই বিষয়টিকে এড়ানো সম্ভব।


🔯নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ উপভোগ করণীয় :

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয় বা আমরা অনেকেই হয়েছি সতর্ক থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো নেওয়া যায়। সহজেই এগুলো হলো বিশ্বস্ত সোর্স থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর অ্যাপ ডাউনলোড করুন। প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ইউএসএসডি কোড ডায়াল করে ব্যবহার করা যেত প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন আমাদের অধিকাংশ মানুষের হাতেই অ্যান্ড্রয়েড/ আইওএস চালিত মোবাইল ফোন রয়েছে তাই সকলের সুবিধার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করেছে যেগুলো ডাউনলোড ইনস্টল করে মোবাইল ব্যাংকিং এর সকল কাজ খুব সহজেই করা যায় কিন্তু একই সাথে এই বিষয়টি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দুর্বলতা বাড়িয়ে দিয়েছে এখন চাইলে কেউ একই নামে লোগো সংযুক্ত অ্যাপ তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিতে পারে যা ব্যবহার করলে একজন  ব্যবহারকারীর তথ্য অন্য ব্যক্তির কাছে চলে যায়। সে কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই বিশ্বস্ত কোন স্থান থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে কিন্তু স্থান হতে পারে ওই মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির ওয়েবসাইট গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ


🔯জাল মেসেজের প্রতি খেয়াল রাখুন                                           

 আগে উল্লেখ করা হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অধিকাংশ জালিয়াতি অসতর্কতার কারণে এই অসতর্কতা সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী মোবাইল নাম্বারে মেসেজ পাঠায়। এবং  ব্যবহারকারীর কাছে তার ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া হয় এর পরবর্তীতে ঐ সকল তথ্য ব্যবহার করে নানাভাবে ব্যবহারকারী একাউন্টে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এ কারণে  ব্যবহারকারী প্রায় বিভিন্ন অফিশিয়াল নাম্বার এর আদলে মেসেজের নাম্বার তৈরি করে থাকে। ফলে ঠিক ভাবে খেয়াল না করলে অথবা না জানলে ভুয়া বা  ভুল করাটাই স্বাভাবিক বিষয়। তাই সকল ব্যবহারকারীর  জেনে রাখা উচিত যে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় কর্তৃপক্ষ সকল ব্যবহারকারী তথ্য অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে তাই সাধারণ কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে সেগুলো আলাদা করে জানার  প্রয়োজন পড়ে না আর একাউন্ট খুলতে এই তথ্যগুলো থাকা বাধ্যতামূলক ফলে এই তথ্যগুলো জমা হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার  প্রশ্ন ওঠেনা। এ ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই. মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গুলোতে সাধারণত সব সময় একটি নির্দিষ্ট নাম্বার থেকে মেসেজ পাঠানো  অথবা কল করে সতর্ক থাকতে চাইলে ওই নাম্বারটি মনে রেখে এর বাইরে কোন নাম্বার থেকে এই সম্পর্কিত কোনো ম্যাসেজ আসলে অপেক্ষা করতে হবে.


🔯মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে পাঠানোর কোন তথ্য কাউকে দেবেন না :

কোনো অ্যাকাউন্ট কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তা জানিয়ে  ওই অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠায় এসএমএস গুলো প্রায় সকলেই প্রায় সব সময় কোন না কোন ওটিপি অথবা অন্য কোন কোড ব্যবহার করে এই কোড ভুল মানুষের হাতে চলে গেলে সে সহজেই ওই অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড অন্যান্য অনেক তথ্য ও টাকাপয়সা কর্তৃত্ব নিয়ে নিতে পারে। সাধারণত ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজে থেকে কোন ধরনের ওটিপি পাঠায় না এবং সেগুলো জানতে চায় না এজন্য কখনো নিজের হস্তক্ষেপ ছাড়া মোবাইল নাম্বারে এ ধরনের কোনো ম্যাসেজ আসলে সেগুলো কোনক্রমেই অন্য কাউকে দেয়া  যাবেনা এবং নিজের কোনো ধরনের প্রয়োজন না থাকলে এই মেসেজগুলো মোবাইল ফোন থেকে মুছে দিতে হবে.


🔯অপরিচিত ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রবেশ করাবেন না:

 মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ইদানিং অনেক স্থানে অনলাইনে পেমেন্ট করার সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদন প্রভৃতি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণত সে সকল প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার তথ্য গুলো দিতে হয় এরপর সেখান থেকে টাকা পরিশোধের কাজটি সম্পন্ন সমাধান হয়ে যায়। এ পদ্ধতির সাহায্যে অনেকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেক সময় বিভিন্ন অপরিচিত ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার সময় বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের পপ-আপ উঠে আসে. এখানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে কেনা কাটার অপশন সামনে চলে আসে. এছাড়াও অনেক অপরিচিত ওয়েবসাইটে দেখা যায় নামমাত্র মূল্যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে কেনাকাটা সুযোগ দেওয়া হয়. পরবর্তীতে গ্রাহকের মোবাইল ব্যাংক একাউন্টের টাকা আত্মসাৎ করার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে টাকা পরিশোধের প্রসঙ্গ আসলে অপরিচিত ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।  খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অপরিচিত ওয়েবসাইট এর বাইরে অন্য কোন ওয়েবসাইটে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার তথ্য প্রদানের প্রয়োজন হলে এড়িয়ে যেতে হবে। 

🔯সিম হারিয়ে গেলে যতটুকু সম্ভব উত্তোলন করুন:                   

 উপরের  উল্লেখ করা হয়েছিল যে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণভাবে একটি নির্দিষ্ট সিম কার্ড অথবা একটি নির্দিষ্ট ফোন নাম্বারে  নির্ভরশীল। তাই সিম কার্ডটি কারো কাছে থাকার অর্থ সেই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট তার হাতে থাকা। যদি একাউন্টের পিন কোড সহ আরো বেশ কিছু বিষয় নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো দিয়ে থাকে। তবুও এই নিরাপত্তা বলয় কে অনেকেই কাটিয়ে ওঠার পদ্ধতি ইতিমধ্যে হ্যাকাররা বের করে ফেলেছে। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং এর পদ্ধতি অনুযায়ী নাম্বার ঠিক  হাতের কাছে না থাকলে কোন একাউন্ট ব্যবহার করাও সম্ভব নয়।  কাউকে টাকা পাঠাতে থেকে  শুরু করে উত্তোলন পেমেন্ট করা সবকিছুর জন্য ওই মোবাইল নাম্বারটি হাতের কাছে থাকা জরুরি। সে কারণে ওই মোবাইল নাম্বারটি হারানো গেলে একদিকে যেমন অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় অন্যদিকে অসৎ কেউ সেই সিম কার্ডটি পেয়ে থাকলে একাউন্টের সকল টাকা বা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিতে পারে। তাইলে বেশ সহজেই  ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সম্ভাবনা তো থাকছেই দেশের সকল সিম কার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করায় সে সকল অপরাধের দায়ভার সিম কার্ড এর প্রকৃত মালিকের দিকে আসাটা স্বাভাবিক কিছুই নয়।  তাই কোনো কারণে যদি কোন সিম কার্ড হারিয়ে যায় সেই নাম্বারটি যত দ্রুত সম্ভব সামরিক হোক আর স্থায়ীভাবে হোক সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কাস্টমার কেয়ারে যে বন্ধ করে দেওয়া যদি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট যুক্ত ফোন নাম্বার স্থায়ীভাবে বন্ধ  করার চাইতে সাময়িকভাবে বন্ধ করাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত। সে কারণে এক্ষেত্রে পরবর্তীতে তুলে নিয়ে আবার ওই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নামে যথা নিয়মেই ব্যবহার করা যায়। 

🔯শেষকথা:                                                                                        

মোবাইল ব্যাংকিং সেবার  উপরে আমরা সকলেই ইদানিং অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকিং সেবার মত সকল সুযোগ-সুবিধা শুরু করায় ইদানিং অনেকের কাছে টাকা সঞ্চয় এর মাধ্যম হয়ে উঠেছে বটে।  সে কারণে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট টি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক মানুষ এই অনেক ধরনের বিপদে পড়ে যেতে পারে। তাই সবাই মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরী। তাই আমরা আশা করি , উপরের বিষয়গুলো কেউ অনুসরণ করলে তার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট অনেকখানি নিরাপদ রাখা সম্ভব। খোদাহাফেজ ভালো থাকবে। নিরাপদে থাকবেন ধন্যবাদ।



Tags:নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং করার উপায়, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং ৫০ টাকা বোনাস, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং কোন ব্যাংক, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং নিয়োগ 2022, মোবাইল ব্যাংকিং লোন, উপায় কোড কত,বিকাশে টাকা জমানোর নিয়ম,


tag:Technology
#Technology
Next Post Previous Post
"/>