আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

 আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম





বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, এখন থেকে একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিমকার্ড রাখতে পারবেন না।
🔍 কেন নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত?
বিটিআরসি জানিয়েছে, ভোক্তা সুরক্ষা, প্রতারণা রোধ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে একজন ব্যবহারকারী একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী অতিরিক্ত সিম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপব্যবহার ও প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছিলেন।
📅 সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে আজ থেকেই
শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) থেকে মোবাইল অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর নিবন্ধিত অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে, এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
⚙️ সিম বন্ধের প্রক্রিয়া কেমন হবে?
বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম বন্ধের ক্ষেত্রে ‘দৈবচয়নের’ (Random Selection) নীতি অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ, কোনো ব্যবহারকারীর এনআইডিতে যদি ১০টির বেশি সিম থাকে, তবে সেগুলোর মধ্যে যেকোনো সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে — এমনকি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিমটিও!
👉 তাই, নিজের সক্রিয় সিমগুলো যাচাই করে নেওয়া খুবই জরুরি।
📱 কীভাবে জানবেন আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত?
নিজের এনআইডির বিপরীতে কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে তা জানতে পারেন খুব সহজে —
📞 মোবাইল থেকে ডায়াল করুন: *16002#
🖥️ অথবা অনলাইনে ভিজিট করুন: https://www.btrc.gov.bd/

সেখানে আপনার এনআইডি নম্বর ও কিছু তথ্য দিয়ে যাচাই করতে পারবেন কতটি সিম বর্তমানে আপনার নামে সক্রিয় আছে।
📊 দেশে বর্তমানে সিম ব্যবহারের পরিসংখ্যান
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ।
কিন্তু প্রকৃত মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ।
প্রায় ৮০% ব্যবহারকারী ৫টির কম সিম ব্যবহার করেন,
১৬% ব্যবহারকারী ৬-১০টি সিম ব্যবহার করেন,
এবং মাত্র ৩% ব্যবহারকারী ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন।

এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্য এই নিয়ম কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। বরং এটি দেশের মোবাইল খাতকে আরও সুশৃঙ্খল করবে।
🧠 কেন এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল?
📌 একাধিক সিমের অপব্যবহার রোধ
📌 প্রতারণা, ফিশিং, এবং ভুয়া রেজিস্ট্রেশন প্রতিরোধ
📌 মোবাইল নেটওয়ার্কের তথ্যভাণ্ডার সঠিক রাখা
📌 আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন,
> “আমরা চাই প্রতিটি এনআইডির অধীনে সর্বোচ্চ ১০টি সিম সক্রিয় থাকুক। ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে, যেন কেউ এর বেশি সিম ব্যবহার না করতে পারে।”


⚠️ গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
যাদের একাধিক সিম রয়েছে, তারা দ্রুত যাচাই করে দেখুন কোন সিমগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় সিম বন্ধ করে দিন, যাতে দৈবচয়নে (randomly) গুরুত্বপূর্ণ সিমটি বন্ধ না হয়ে যায়।

---
🔖 উপসংহার
বিটিআরসির এই নতুন সিদ্ধান্ত দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনতে বড় ভূমিকা রাখবে। যদিও অনেকের জন্য এটি সাময়িক অসুবিধা তৈরি করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি গ্রাহক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

-
Previous Post
"/>